অর্থ আত্মসাতের দায়ে নোয়াখালী মেডিকেলের সাবেক অধ্যক্ষসহ দুজনের নামে দুদকের মামলা
০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৫২ পিএম | আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:২৪ পিএম
নোয়াখালী আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. আবদুস ছালামসহ দুজনের বিরুদ্ধে সরকারি আট কোটি ৫৯ লাখ ১৭ হাজার ৭৯২ টাকা আত্মসাতের দায়ে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দুদকের সমন্বিত নোয়াখালী জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. ফারুক আহমেদ বাদি হয়ে মামলাটি করেন বলে নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় অপর আসামি হলেন, ঢাকার মোহাম্মদপুর খিলজি রোড এলাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্ঝরা এন্টারপ্রাইজের মালিক আফসানা ইসলাম। তিনি নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানার কামারগ্রাম এলাকার মাহাবুবুল ইসলামের স্ত্রী। বর্তমানে তিনি ঢাকার শ্যামলী এলাকার পিসি কালচার হাউজিং সোসাইটির বাসিন্দা।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আবদুস সালাম বাজার দর গোপন করে ১৭ হাজার ৯৮০ বর্গফুট সিলিংয়ের কাজে প্রতি বর্গফুট পাঁচ হাজার ৯৫০ টাকা করে মোট ১০ কোটি ৬৯ লাখ ৮১ হাজার টাকা নির্ঝরা এন্টারপ্রাইজকে পরিশোধ করেন। এতে এক কোটি ৭২ লাখ ছয় হাজার ৮৫৮ টাকা ভ্যাট ও আয়কর কর্তন করে ঠিকাদার পায় আট কোটি ৯৭ লাখ ৭৪ হাজার ১৪২ টাকা।
দুদক অনুসন্ধান করে জানতে পারে, গণপূর্ত বিভাগের দর অনুযায়ী উক্ত কাজের প্রতি বর্গফুটে খরচ লাগে ২১৪.৪৮ টাকা। এতে ১৭ হাজার ৯৮০ বর্গফুট সিলিংয়ের কাজে ব্যয় হওয়ার কথা ৩৮ লাখ ৫৬ হাজার ৩৫০ টাকা। ফলে সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আবদুস ছালাম ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক আফসানা ইসলাম পরস্পরের যোগসজশে অবৈধভাবে আর্থিক লাভবানের আশায় অতিরিক্ত বাজার দর দেখিয়ে সিলিংয়ের কাজে সরকারি অতিরিক্ত আট কোটি ৫৯ লাখ ১৭ হাজার ৭৯২ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ মেলে।
দুদকের নোয়াখালী কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে বাদির লিখিত অভিযোগ পেয়ে দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১, ১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় দুই আসামির বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা (নম্বর-২) হয়েছে।
দুদকের নোয়াখালীর উপ-পরিচালক মো. ফারুক আহমেদ বলেন, নির্মাণ করা সিলিং ডেকোরেশনের কাজটি প্রকৌশলীয় নির্মাণ কাজ হলেও অসৎ উদ্দেশ্যে আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ তা ফার্নিচার গ্রুপে অন্তর্ভুক্ত করে দরপত্র আহ্বান করে। যাতে বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. আবদুস ছালাম দরপত্র আহ্বান কমিটির সভাপতি হিসেবে সরাসরি যুক্ত।
তিনি আরও বলেন, এছাড়াও তৎকালীন অধ্যক্ষ ডা. আবদুস ছালামের চাপে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি কোনরূপ যাচাই-বাছাই না করে কিংবা কোনরূপ নোট অব ডিসেন্ট না দিয়ে প্রকৌশল সংক্রান্ত নির্মাণ কাজের বিষয়টি অনিয়মতান্ত্রিকভাবে অনুমোদন দিয়েছেন। তদন্তে অন্য কারো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাদেরও আসামির তালিকায় যুক্ত করা হবে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ইরানে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে নিহত ১০
বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারী কে, জানেন?
বাংলাদেশি রোগী পেতে সীমান্ত পর্যন্ত মেট্রো চালু করবে ভারত
হাত ফসকে আইফোন পড়ে গেল মন্দিরের দানবাক্সে, ফেরত দিতে অস্বীকৃতি
কুয়াশায় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে একাধিক দুর্ঘটনা: নিহত ১, আহত ১৫
ঢাকার বায়ুমানে উন্নতির কোনো লক্ষণ নেই, বিপজ্জনকের কাছাকাছি
উগ্রবাদী সন্ত্রাসী 'সাদ' পন্থীদের কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন
বাংলাদেশ সীমান্তে অত্যাধুনিক ড্রোন মোতায়েন ভারতের
নরসিংদীতে দুর্বৃত্তের গুলিতে ছাত্রদলকর্মী নিহত
সিনেটে প্রার্থী হতে সরে দাঁড়ালেন লারা ট্রাম্প
আমাদেরকে আর স্বৈরাচার হতে দিয়েন না : পার্থ
মার্চের মধ্যে রাষ্ট্র-সংস্কার কাজ শেষ হবে : ধর্ম উপদেষ্টা
জামালপুরে দুই ইজিবাইকের চাপায় সাংবাদিক নুরুল হকের মৃত্যু
বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাখাইনের সামরিক সদর দফতরের দখল নিয়েছে আরাকান আর্মি
ব্রাজিলে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৩২
নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিয়োগ সিরিয়ায়
ঘনকুয়াশায় ৩ ঘন্টা পর আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ফেরি সার্ভিস চালু
গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে
কনসার্ট মঞ্চে স্বৈরাচার হাসিনার বিচার দাবি
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ১৪ ফিলিস্তিনি